রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী থেকে এম কে রানাঃ— প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল গঠন করে শূন্যপদের ভিত্তিতে যথাসময়ে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি দিয়েছে সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শত শত যুবক-যুবতী।
২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার সারাদেশের ন্যায় একযোগে সকাল ১০টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন পালনকালে বক্তব্য রাখেন প্যানেল বাস্তবায়ন জেলা কমিটির সভাপতি সোহাগ খলিফা, সাধারন সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, সদস্য মেহেদী হাসান, মোঃ আনিছুর রহমান, মোসাঃ তাবিতা ইসলাম, মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, সানজিদা খানম, শারমিন আক্তার সুমি, তাছরিন জাহান, আকলিমা, নাহিদা আক্তার, সিরাজুল, আখি, কামরুন্নাহার, সুরাইয়া জাহান, মুক্তা আক্তার মামুন হাওলাদার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে জাতিসংঘসহ সারাবিশ্বে বিশ্ব মানবতার জননী হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেছেন। আমরা ৩৭ হাজার শিক্ষিত বেকার আমরা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ, আপনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নীত হয়েছে। আপনি ঘোষণা দিয়েছেন, “মুজিব বর্ষে কেউ বেকার থাকবে না।” আমরা আপনার সেই কথার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপনার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমাদেরকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে আমাদেরতে কৃতজ্ঞতা আবদ্ধ করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে “শিক্ষার মূলভিত্তি” মনে করে ১৯৭৩ সালে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের মাধ্যমে ১.৫ লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরী স্থায়ীকরণ করেছিলেন। যা ছিল শিক্ষিত জাতি ও দেশ গঠনের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। মুজিব বর্ষের উপহার স্বরূপ প্রায় ৩৭ হাজার মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষিত বেকারকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শকে অক্ষুন্ন রাখবেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের অনেকের সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়স সীমা শেষ হওয়ায় এটাই ছিল সর্বশেষ সুযোগ। এমনকি মেয়েদের জন্য এইচএসসি পাশে এটাই সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এরপর থেকে মেয়েরা শ্নাতক পাস ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না। বিদ্যালয়গুলোতে যথেষ্ট শূন্য পদের সংখ্যাও বিদ্যমান আছে। জাতীয় সংসদ হতে, মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর তথ্য মতে, ডিসেম্বর-২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ২৯ হাজার। সম্প্রতি রিজার্ভ শিক্ষকের পদ সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন আছে প্রায় ৬৮ হাজার এবং প্রায় ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও ৬৫ হাজার হিসাব রক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বিশ্ব মানবতার মা হিসেবে জাতির জনকের ন্যায় আমাদের সবাইকে প্যানেলের মাধ্যমে চাকরীতে যোগদানের ব্যবস্থা করে মুজিব বর্ষের শুভ সুচনা ঘোষণা করবেন। ২০১০, ১২, ১৩ প্যানেল হয়েছে এবং ১৪ সালেও প্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
প্রকাশ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ এবারই প্রথম সারাদেশ থেকে প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য হতে মাত্র ৫৫,২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন যা মাত্র ২.৩% ফলে এদের যোগ্যতা নিয়ে কোন সংশয় নেই। তাই মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবী প্যানেল গঠনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সহকারী ও প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগ দিয়ে বেকারাত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি চেয়েছে আন্দোলনকারীরা। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মামুনুর রশিদ এর কাছে একটি স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply